Search Here

বাংলার বঙ্গবন্ধু

Home / বাংলার বঙ্গবন্ধু

বাংলার বঙ্গবন্ধু বাংলার বঙ্গবন্ধু বাংলার বঙ্গবন্ধু

বাংলার বঙ্গবন্ধু

Spread the love

চতুর্দশপদী কবিতা
লেখকঃ আহসান হাবীব

উৎসর্গঃ
সুমাইয়া, আল আরাবি

আফিয়া

সহযোগিতায়ঃ

মিঃ জেসমিন আরা

শ্রোতী লিখনঃ

আনহার তাসনিম (অনন্যা)

আল-আদনান (জিদান)

সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ

মোঃ আতিকুর রহমান

সম্পাদনায়ঃ

কবি
উৎসাহে
বন্ধু-বান্ধব

মুদ্রনেঃ
সজিব মিয়া

শুভেচ্ছান্তেঃ

মোঃ আরিফুল ইসলাম

ধন্যবাদান্তেঃ

মোঃ মমতাজ উদ্দিন

***********************************

 

মাতৃভূমি

যেখানেই যে ভাবেই থাকি এ মাতৃভূমি
ভুলিতে পারিনা তোমার অপূর্ব স্মৃতি
গৃহ গেরা তরু পল্লব শ্যামল অতি,
চারপাশ বিস্তীর্ণ ফসল ভরা জমি
মনে মোর ভেসে সব উঠে হরদমি।
নির্মল আলো বাতাস তব দিবা রাতি
অশান্ত হৃদয়ে মোর করে মাতামাতি
বর মাতা এভাকে কেমনে থাকি আমি।

জননি গো অপুরূপ সুন্দর্য তোমার
সর্বদা হৃদয় মোর চলে হেলে দূলে
স্বপনে জাগরণে নিত্য সচরাচর
তোমার গর্ভেতে থাকি ক্লেশ সব ভুলে
জননি গো চিরদিন থাক মোর মোনে
ভুলিনা যেন তোমায় আমি কোন খানে।

 

বাংলার মাটি

হায়রে মোর সোনার বাংলার মাটি
রোদে জ্বলে এক একার বিসদ সকল
দূর্বার বেগে সামলে ফলাও ফসল,
হিউ মাসে ভরাট উর্বর মস্ত ডাটি
গুণে মানে তুমি যে সোনার চেয়ে খাটি
বিদ্যামান যত দেশ সহায় সম্বল
মূল্যহীন তব কাছে সম্পতি সকল
তোমার জন্য ধন্য আজ এ বাংলাটি।

কত শত খেলেছিনু তব বক্ষে চাপি
ভুলিতে পারিবোনা এ অসামান্য ঋন
এতই ধৈর্য্য তব কভ’ যাও নিখিপি
অত্যাচারেও শান্ত থেকেছো চিরদিন।
শিশু কালে গায়ে মাখি নিত্য ধুলাবালি
তামাশা করেছি তাতে নান রং তুলি।

 

বঙ্গবন্ধুর ডাক

বঙ্গবন্ধুর ডাক শুনে ভাঙ্গিল ঘুম
সে যে সকালবেলা সূর্য ওঠার পরে
পাখি সব গাছে গাছে চেচামেচি করে,
বিছানায় শুয়ে আছি আরামে বেধুম
চৌদিকে কুয়াশা তথা ঝরছে নিঝুম।
এমনি ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ডাকিয়া মোরে
কহিল‘ তারাতারি উঠ পাগল ওরে
মুক্তিযুদ্ধে যেতে হবে ছাড় গোয়ার্তুম’

চেয়ে দেখি শিওরে শেখ মুজিব ভাই
বিমর্ষ চিত্তে মূর্তি বেশে দাড়িয়ে আছে,
কহির মোরে নেতা ‘সময় কেশি নাই
মুক্ত করি দেশ আগে কথা তার পাছে’
বঙ্গবন্ধুর ডাক শুনে বিছানা ছেড়ে
নির্ভয়ে গেলুম যুদ্ধে অস্ত্র হাতে ধরে।

 

পাগলী

‘সবাই বদমায়েস আমি শুধু খাটি’
এই কথা পাগলা বেরায় আর কয়
গ্রামের ছেলে মেয়ে সকলি বোধ হয়,
শুনে এই তার পিছে করে ছুটাছুটি
পাগলী যায় দৌড়ে কখনো যায় হাটি,
সারাক্ষন ঘুরে ফেরে খিদে পেলে তায়
খড় কুটো লতা পাতা কুড়ে কুড়ে খায়
এইভাবে দিন মান যায় তার কাটি
সন্ধ্যা হলে পাগলী গাছতলাতে শুয়ে
বিড় বিড় করে বকে মুখে যাহা আসে
কাউকে দেখে পাগলী দৌড়ে গিয়ে ভয়ে,
কিছু পথ তার পানে চেয়ে শুধু হাসে
যদি দেখে কারো গায়ে খাকি পরিপাটি
তার দিকে ছুড়ে মারে ইট ঢেলা মাটি

 

পরাধীনতা

সেই যে উনিশশত একাত্তর সালে
বড় অল্প বয়স তবু পরাধীনতা
সে যে কি বিস্তর বুঝেছিলাম তা
শখের বসে যখনি হর্স কলবলে
(বাহিরে যাব) স্থির করেছি হেন কালে
কোস্থেকে সেপাই আসিয়া আনিয়া খাতা
কহিত‘ সই কর যেথায় যাচ্ছ ভ্রাতা
লেখ আরো (ফিরিবে কবে?) গৃহমহলে’

দুখী মনে সারাদিন হেতা সেথা ঘুরে
আসিতাম গৃহে ফিরে সন্ধ্যার প্রাক্কালে,
এসে দেখি সেপাইরা বাড়িতে ফিরিতে
করেছে গুঞ্জন কত অতি সোরগলে।
দেখামাত্র সেপাহিরা কহে বাছাদন
কোথায় ছিলে বলো বিলম্বের কারণে ?

 

ছোট্ট শিশু রাসেল (২)

ছোট্ট শিশু রাসেল তার যে ছিল আশা
লেখা পড়া শিখে একদিন বড় হয়ে
মা বাবার আদর দোয়া মাথায় নিয়ে,
জনগণের টানে দেশকে ভালোবাসা
গরীব দুখীর সাথে সদা মেলা মেশা।
তার ছিল আরো আশা দুই হাত দিয়ে
ধন রতœ পাকা পয়সা সব বিলিয়ে
মিটিয়ে দিবে সবার দুঃখ দুর্দশা।

অবুঝ শিশু রাসেল তার শিশু মনে
ভাবনা ছিল শুধু যে দিন বড় হবে
বাবার মতো নিজেও প্রতি জনে জনে
করিবে সাহায্য গরিব যাদের পাবে।
ছোট্ট শিশু রাসেল সেই ছোট বেলায়
ভাবিত আরোও কত শুয়েয দোলনায়।

 

দস্যু বাহিনী

যদি দেখিতে পাইতাম সেদিন গুলি
যেদিন ওই হানাদার দস্যু বাহিনী
মুক্তিযোদ্ধদের ঘর থেকে ধরে আনি,
তপ্ত বালুতে সূর্যের দিকে বুক তুলি
পিছন থেকে মাথায় চালায় তো গুলি।
যদি দেখিতাম ঐ পশ্চিম পাকিস্থানী
নিরীহ বাঙ্গালীদের নিচ্ছে প্রানখানি
তাহলে জল্লাদের করতাম শুলি।
রাজাকার আলসামস আলবদর
আরও ছিল নাকি কত শান্তি কমিটি,
ওরাই করিত হানাদারের কদর
এসব দেখে খুলে বইয়ের পাতাটি
আজো শুনি কত কথা কত শুখে মুখে
বাংলায় মেরেছে মানুষ লাখে লাখে।

 

রাসেলের শখ

জন্মের পর শিশুটি ফুপিয়ে ফুপিয়ে
জুড়ে দিল কান্না, আর যেন থামছেনা
কোলে নিয়ে কেহ বলে ‘ খুকুমনি সোনা’
তবুও যে শিশুটির দুনয়ন বেয়ে
ঝরনার মতো জল যায় গড়িয়ে।
অপর কেহ যেন বলে আর কেদনা
তুমি যে হবে বাংলার গর্বিত সেনা
তকনই শিশুটি কান্না দেয় থামিয়ে।

অবুঝ শিশুটি কী বুজেছিল তখন
আমরা তো জানিনা তবে শিশুটি যানে,
হয়তো ধিরে ধিরে বড় হবে যখন
নিজেকে বিলিয়ে দেবে দেশের কল্যাণে।
রাসেলের শখ ছিল বড় হলে পরে
করবে সেবা দেশ জনগণের তরে।

 

প্রবাস জীবন

শোন ওহে বাঙ্গালী মোর একটি কথা
গিয়েছিনু পরদেশে সুখের আশায়
খেতে পাইনি ইচ্ছামতো মন যা চায়
ব্যথিত চিত্যে ঘুরেছি কত হেতা সেথা
ব্যগার হলো সে সমস্ত ঘোরা অযথা
বিদেশের মাটিটুকু সেও যেন হায়
পদে পদে মোর পানে তাচ্ছিল্যে তাকায়
আছে নাকি তার মাঝে সোনা রুপা গাথা
বহুদেশ ঘুরে তবে ক্ষুন্ন মনে এসে
দেখিনু ধন সম্পদে ভরা এই দেশ
মনে মনে আকি পন আরাম আয়েসে
থাকিব আজীবন নিজ ভ’মিতে বেশ
কত দেশ ঘুরেছি সুখের অন্বষনে
কোথাও পাইনি সুখ প্রবাস জীবনে।

 

রাসেলের মুখ

রাসেলের মুখে ছিল বাংলার ছবি
যে দেখেছে সেই মুখ দুনয়ন তুলি
ততক্ষনাত গিয়েছে সে নিজেকে ভুলি,
মুখ ছিল তার কত মসৃন মায়াবি
সেই মুখে দিত কিরণ সোনার রবি।
আধারেও মুখশ্রী তার বিিচত জ্বলি
কাওকে দেখে হাসিত দুই ঠোট খুলি
¯িœগ্ধ তায় ভরপুর মুখখানি সবি।

দুখী মনে যেই শেখ রাসেলের বাড়ি
আশিয়া দেখিত তার স্কমল মুখ,
মনের অগচড়ে সে দুখ পরিহরি
নিয়েছে গেথে মনে আনন্দ ফ’র্তি সুখ।
তাইতো কত জন আসত সারিসারি
দল বেধে গ্রাম জুড়ে রাসেলের বাড়ি।

 

আড্ডা

খেলার মাঠে সেদিন পড়ন্ত বিকেলে
দুবলা ঘাসে বসে সকল সখা সখি
আড্ডায় মত্ব ছিলাম হয়ে মুখো মুখি,
কত কথা কত গল্প কতই না ছেলে
দিয়ে ছিলাম পরা ফাকি সে গল্প চলে।
নিশ্চুপ থেকে কেহ হয়ে গোমড়া মুখে
নিজের অপকর্মে টুকু গোপনে রাখি
বাহাসি জানায় তার গর্বে বুক ফুলে।

এ সবে মোর কিন্তু কোনও কান নাই
বসে বসে ভাবি সদা রাসেলের কথা,
সবাই আছে হেতা শুধু রাসেল ভাই
সেই তো নাই তাই আসল টাই বৃথা।
যদি রাসেল থাকিত আসরটা অতি
জমিয়ে উঠিত আজ খোশ গল্পে মাতি।

মধু মতি নদী

মধু মতির তীরে আসিয়া আজি
সহ¯্র কষ্ট স্মৃতি চেপে মানস পটে
অসহায় বেসে ঘুরছি নদীর তটে,
ধূসর বালির মাঝে দু-নয়ন গুছি
মুজিবের পথ চিহ্ন যাইতেছি খুজি।
ওই খানে নেতাজি নদীর ওই ঘাটে
¯œান করিত বুঝি নিত্য আসিয়া বটে
তাই খুজি হেতা নেতার পথ ভুঝি।

দেখিনু তীক্ষè চোখে মধুমতির তীরে
কোথাও পেলাম না নেতার পত চিহ্ন,
দিন শেষে অবশেষে ঘরে আসি ফিরে
শত কষ্ট বুকে চেপে করি মন ক্ষুন্ন।
যেখানেই থাকি সুযোগ পেলেই ভাই
মধুমতির তীরে গিয়ে প্রাণ জুড়াই।

 

বাপের বেটা

তোমরা কি চেনো তারে? সে বাপের বেটা
অগ্নি বসে মুখে যেন বন্দুকের গুলি
ভাষণ দেন রিতি মতো তুলে অঙ্গলি,
অসীম সাহস যেমন বুকের পাঠা
সত্য কথা সদা তার নে ই কোন ঝুটা।
ভয় নেই কোনটায় চলে বুক ফুলি
মোকাবিলা করিতে তার মুখের গুলি
এমন হয় যে মত্রæর বাজে বারোটা।

বলিষ্ট নেতৃত্ব দানে টেকসই দম
কথাতেই প্রকিপক্ষ হয় বিপর্দস্ত,
চারিপাশে উপবিষ্ট যত ভদ্র সম
ঢেকুর গিলে পালাতে থাকে অতিব্যাস্ত।
এমন সাহসী নেতা আর আছে কটা
বাংলায় ছিল শুধু সে বাপের বেটা।

 

খোকা

স্বপনে দেখিনু সেদিন ঘুমের ঘোরে
খোকা নামে এক ছেলে রাস্তা দিয়ে যায়
পথে জটলা তাই সে থমকে দাড়ায়,
দেখে যে কতক জন হট্টো গোল ঘিরে
দ্রæত খোকা যায় সেথা ঠেলা ঠেলি করে।
হতভম্ব উপস্থিত যারা ঝামেলায়
খোকার কান্ততে সব কলহ থামায়
পরে সে তাদের মাঝে বকা ঝকা করে

পথের কিনার ঘেষে অপেক্ষায় থাকি
কখন যে হবে দেখা এই ভরসায়,
দেখা হলে সুদিলাম তোমার নাম কী
খোকা বড্ড হতবাক প্রশ্ন জিজ্ঞাসায়।
মুচকি হেসে পড়ে জানায় ভ্রæ কুচকে
কাগজে লেখা মুজিব মুখে খোকা ডাকে।

 

অজ পরাগায়

কেমন ভাগ্য ওদের জম্মি অজগায়ে
দেখিলে চৌদিকে কতইনা হাহা কার
আলোর সিটা নেই শুধুই অন্ধকার,
আশে পাশে পথে মাঠে পেটে ক্ষুধা নিয়ে
চিল্লাচিল্লি করিছে কতক ছেলে মেয়ে
নেই কোন বস্ত্র তাদের গায়ে দেবার
পায়না খেতে সদা পর্যাপ্ত খাবার
হার কখানা দেখা যায় উলঙ্গ গায়ে

এসব দেখে মুজিব খুঁজে বিত্য শালি
ধন্যা ধরে তাদের কাছে কিঞ্চিত চেয়ে
টাকা-পয়সা ধান চাল এসব তুলি
নিয়ে তাই সবার মাঝে দেয় বিলিয়ে
কাছে ডেকে নিযয়ে মুজিব দেয় বিলিয়ে
খেলা থেকে বিরত রেখে পাঠায় স্কুলে।

 

সবুজ বাংলাদেশ

শোন ওগো জননী মাতৃভূমি আমার
বিশ্বের যেখানে যাই তোমার শুনাম
শুনিতে পাই লোকে মুখে বিশ্বে তামাম।
বিদেশেতে কত প্রসংসায় তোমায়
পঞ্চমুখ হইয়াছে শোননা এবার।
তুমি যে দেখিতে শুধুই কি লাল স্যাম
এ কথায় নিজেরা বাঁধে তুল কালাম
এমন দেশ নাকি কোথাও নাই আর।

মাঠে মাঠে আবাদ কত সবুজ বোনে
পশু পাখি মিলে মিশে বাধা বেধে থাকে,
নাই বিবাদ তাদের নিত্য জনগনে
গান গেয় পদ বেয় চলে হেঁকে হেকে।
কাজান্তে কৃষকগন এসে পারা গায়
আনন্দে মধুর সুরে তারা গান গায়।

 

দাঙ্গা হাঙ্গামা

হরতাল অবরোদে সংমিষ্ট যারা
নিতান্তই বিবেক বিবর্জিত মনোনে
কুকর্মে নিমর্জিত থেকে আত্ম হননে
উজ্জিবিত হয় মাতে সহিংসে ওরা
ভালমন্দের বিচার নাহি করে তারা
কে যে পর, কে আপন আত্মীয় স্বজনে
উগ্রবাদী মনোভাব দুষ্ট আচরণে
ভুলে যায় পিতা মাতা ভাই ভগ্নী দ্বারা।

অবরোদের নামে কর্ম সূচি সকল
দেশের ধ্বংস ছাড়া অন্য কিছু নয়
ডাঙ্গা হাঙ্গামায় সব করিয়া অচল
এতে নাই কারো কোনোজয় পরাজয়
আসুন আজ কাধে কাধ মিলে সবাই
সোনার তাকটাকে নিজ হাতে গড়াই।

 

ছোট্ট শিশু রাসেল (১)

ওই যে ছোট্ট শিশু রাসেল তার নাম
ফুট ফুটে চেহারা তার দেখতে যেকি
স্বারা গায়ে জ্বলত আগুনের ফুলকি,
মুখখানি ছিল তার মসৃন তামাম
মাথা ভরা কেশর দেখায় কালো জাম
ভুরু তার সুশ্রী বেশ চোখ দুটোনাকি
কহিত কথা ইমারায় মায়াতে তাকি
আরো ছিল তার খ্যাতি জুরে সারা গ্রাম

সকা সকি আশে পাশে ছিল তার যত
সবাই ছিল তার অতি আস্থা ভাজন,
কারও বিপদে সে স্বার্থপরের মত
পালাইয়া কখনো করিতনা প্রস্থান
শিশু কালই ছিল শক্ত প্রেমের খুটি
তাইতো চলিত তারা এক সাথে জুটি

 

বত্রিশ নম্বর

বত্রিশ নম্বর ধানমন্ডির বাড়িত
দুখী জনের আনাগোনা সুখের আশে
সুখীদের সমাগম শান্তির প্রয়াসে
নেতা কর্মী জমজমাট করুনা পেতে
মাথা বুলিয়ে দিতে বউগবন্ধুর হাতে
সবাইকে বজাবন্ধু অতি ভালোবেসে
নিত বুকে টেনে পরম দয়ামায়াতে

বঙ্গবন্ধুর সেই ধানমন্ডির বাড়ি
সবার প্রিয় আশ্রয় সাল ঐ যেতাই
দলে দলে এসে কত করে পীড়াপীড়ি
আড্ডায় মেতে ওঠে তার হিসাব নাই
দিন কি রাত নিত্য জনগনের ভিড়ে
জমি উঠে ঐ বাড়ি বেশ হইহুল্লেড়ে

 

মাগো মাতৃভূমি

শোন মাগো মাতৃভূমি ভুলনা আমায়
শক্ত করে বেধে মোরে তোমার আচলে
রেখে দাও সারা জনম অন্তর স্থলে
শত পাপি আমি তবু তোমার ছায়ায়
মন মোর সর্বক্ষণ থেকে যেতে চায়
এতো বড় হইনু তব বাতাস জলে
সেই অবদানে কত নিত্য কোলা হলে
সেজেছিনু গা মোর অপরূপ শোভায়

চাইনা মাগো মাতৃভূমি তোমাকে ছেড়ে
চাইনা যেতে কোথাও অন্য কোনো খানে
স্নেহময়ী মাগো তুমি পরম আদরে
রেখে দাও মোরে তোমার অন্তর কোনে
ভুল যদি করেও থাকি কখনো আমি
মাফ করে দিও মোরে ওগো মাতৃভূমি

 

আমি বাংলাদেশ

মা বসু মাতা তুমি নিষ্ঠুর স্বার্থপর
পরম যতেœ অতি আমায় ধরে পেটে
জন্ম দিলে এতে দোষ নাই মোর মোটে,
তুমি কেন নিত্য নাহি চিনে বারবার
দূরে ঠেলে দিয়ে মোরে রহ নির্বিকার
হে বসু মাতা এইকি ছিল মোর ঘটে ?
গর্ভেতে করি ধারণ তুমি অকোপটে
আরবা কতদিন করবে অস্বীকার

শেখ মুজিব নামে এক বীর যখন
জন্ম লয়ে উজ্জ্বল করিল আজি মোরে,
নিষ্ঠুর ধরনী অবলিলায় তখন
চিরো চেনার ভান করে চাপলে পরে।
আমি বাংলাদেশ, সবাই আজ মোরে
কুর্নিশ জানায় শত নিত্য নত শিরে।

 

জেলের ঘানি

তোমরা কি যান প্রথম কোন বাঙালি
বাংলা ভাষার জন্য সংগ্রাম করে
জেলের ঘানি টেনেছে নিত্য অনাহারে,
অপমান লাঞ্চনা অকথ্য গালাগালি
সহেছে মুখ বুঝে কষ্ট বেদনা ভুলি।
জেল থেকেও সদা সবার অগোচরে
ঐক্য বন্ধ করেছে সে বাঙালি জাতিরে
(বাংলা হবে রাষ্ট্রভাষা) একথা বলি ।

আমরা জানি সব, তিনি খাটি বাঙ্গালি
মাতৃভাষার জন্য সব প্রথমে যিনি,
গিয়েছে জেলে, কিছুতেই পরেনি টলি
বরং ছাত্র জনতাই দিছে উস্কানি।
বজাবন্ধু শেখ মুজিব হলেন তিনি
মাতৃভাষার জন্য জেল খেটেছে যিনি।

 

মধুর গান

প্রভু আমি যেন নেতার সেই ভাষণ
আবার শুনতে পাই এই বাংলায়
আবার যেন মোর হৃদয়ে দোল খায়
সেই শুললিত গলার মধুর গান
বাংলাকে মুক্তির উদত্য আহবান।
প্রভুগো বলো তুমি চুপে চুপে আমায়
দেখা পাইবো যেয়ে বঙ্গবন্ধু কোথায়
তথায় যাব আমি দ্রুত বেগে এখন।

বঙ্গবন্ধুর ঐ শুমধুর আওয়াজ
আজও কানে মোর বাজে বাঁশির সুরে,
স্মৃতি তাবু এলে মনে ফেলে সব কাজ
ঘুরি আমি হেতা সেথা যেন ভবঘুরে।
কোনোটাতে বসেনা মোন শুধু ভাষনে
শত স্বস্তি পেয়ে থাকি আমি সর্বক্ষণে।

 

খাকি

পরাধিন ছিন্নু যখন এ বাংলায়
অর্থ করি ফসল সব করে চালাকি
নিয়ে গেছে ওরা দেশে দিয়ে ছিল ফাঁকি
দেয়নি কোনও দাম বরং শাষায়
“মানুষ নাকি নই মোরা” এই জানায়।
ভাল ভাল বেশ ভূষা কারো দেহে থাকি
“তা পরেই মোদের সেবা করছে নাকি”
এসব গল্প কখনো গর্বে বলে যায়।

বুঝেনি কেহ তবে বুঝেছে একজন
তিনি হলেন বাংলার মহান নেতা,
ধুরান্তর সে মানব, বিজ্ঞের মতন
বুঝে ছিলেন পাকিস্থানির ঘূর্ণা ছুতা।
তাইতো লড়াই সংগ্রাম করে তিনি
তারালেন হায়নাদের দিয়ে পিটুনি।

 

বঙ্গবন্ধুর গান

এসো হে বাঙ্গালী দেশের জনক যিনি
গাহি তাহার গান সবাই এক সুরে
আকাশে বাতাসে মিশে দেশময় জুরে
পশু পক্ষীও যেন গানের করতালি
হেলে দুলে নেছে উঠে সেই সুর শুনি।
মাতৃ ক্ররে শুয়ে সবে দুগ্ধ পান ছেরে
গানের সান্নিধ্যে ওরা হাসাহাসি করে
এসো সবাই সমস্বরে গাই এমনি।

মাঠে জনে চাষি গান কাজের বেলায়
গান গায় মুজিবের নিত্য গলা ছেড়ে
চলমান যারা তারা থমকে দাঁড়ায়
গানের মর্মনিত রাস্থার সারে সারে।
আসুন পালা ক্রমে বাংলার সবাই
বঙ্গবন্ধুর গান সর্বদা গেয়ে যাই।

 

মুক্তির শ্লোগান

“জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু” ইহাই
আপামার জনতার মুক্তির শ্লোগান
ইহাই ছিল স্বাধীনতার শ্রেষ্ঠ গান,
এই গান মুখে রপ্ত করিয়াছে সেই
অস্ত্র হাতে লড়াইয়ে নামিয়াছে সেই।
বঙ্গতে তার বাংলার কুটি সন্তান
এক সুরে সর্বজন স্বাধীনতা চান
শোনেনা ওরা মানেনা থামেনা কে হই ।

রাখাল গরু লয়ে (জয় বাংলা) বলে
আগে আগে চলে যায় পিছে তার দল,
(জয় বঙ্গবন্ধু) বলে তারা হাত তুলে
সায় দেয় তাতে বেশ গায়ে পেয়ে বল
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুষ) শ্লোগানে
মুখরিত করে তোলে সব ঐক্য তানে।

 

কোথায় তুমি রাসেল

কোথায় তুমি রাসেল সেই ছোট কালে
দেখা হলে আমার সাথে খেলার মাঠে

চরে ছিলে কত হেসে হেসে মোর পিঠে,
কত দিন হলো তবু দেখা নাহি মেলে
বন্ধু কোথায় আমায় ছেড়ে গেলে
নিত্য সকাল বেলা বিছানা থেকে উঠে
মনে পড়ে তোমার কথা বসিলে পাঠে
তাইতো তোমায় খুজি খেলা শুরু হলে

ভাবতেছি আজ তোমার হয়েছে যে কি
কেনো তুমি মোরে ছেড়ে অন্য খানে গেলে
চলে এসো বন্ধু আর দিওনা চালাকি
অতিশয় হবো খুশি তুমি ফিরে এলে
এসো বন্ধু কাছে মোর মাঠে খেলা করি
দু’ভাই মিলে মিশে থাকবো গলা ধরি

 

আজ যদি থাকতে

আজ যদি থাকতে তুমি রাসেল ভাই
তোমায় লয়ে ঘুরতাম ঘোড়ায় চরে
হাসি ঠাট্টা তামাসায় সারাদিন ধরে,
ঘুরা কালে যেথায় জন মানব নাই

দমিতাম যেথায় হাওয়া খেতে তাই।
বেলা শেষে বাড়ি মোরা আসিতাম ফিরে
সকাল সন্ধ্যা ধুকতাম পড়িতে ঘরে
এ সকল কল্পনা মনে জাগে শুধুই।

তোমায় ছাড়া একা একা ভালো লাগে না
সর্বদা চলি তাই শত মনের ক্লেসে
খেলাধূলা দূরে থাক ভুলি খানা পিনা
সন্ন ছাড়া মতো ঘুড়ি অভাগি বেসে।
তুমি নাই বন্ধু আমি স্কুলে একা গেলে
পাস কেটে যায় সেথা সবাই কৌশলে।

 

যুদ্ধ নয় শান্তি চাই

যুদ্ধ নয় শান্তি চাই যতদিন বাঁচি
হিংশা বিদ্বেষ ভূলে মায়া মমতায়
ভালোবাসার মালাটা পড়িয়ে গলায়
ঘুরতে চাই সর্বদা করে নাচানাচি
যুদ্ধ বিগ্রহে হোক মোর ঘৃণা অরুচি।
যুদ্ধ বিগ্রহ যদি কোথাও লেগে যায়
অশান্তি আগুনে মোর যে হায় হায়
মনটা কেঁপে ওঠে বারংবার খিচিঁ

মানবতার পক্ষে লড়াই করে আমি
গড়ে তুলব বিশ্বে নতুন ইতিহাস,
চুলায় ফেলে আরাম বিশ্বময় ভ্রমি
বপন করব যে মানবতার চাষ।
সারা বিশ্বে ঘুরে আমি কহে ভাই ভাই
চাইনা কোথাও যুদ্ধ শুধু শান্তি চাই।

 

কৃষক শ্রমিকের গায়ের ঘাম

কৃষক শ্রমিকের নিত্য গায়ের ঘামে
কল কারখানা শিল্প গড়ে ওঠে যত
পাহাড় সমান আরো অর্থ বিত্ত তত

তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশটা ক্রমে
কৃষক শ্রমিকের অক্লান্ত পরিশ্রমে
উন্নত হয়েছে আজ দেখিবার মত
সহায় সম্বল অন্য দেশে নাই এত
আছে শুধু হেতা ভরা বাংলার ভূমে

পাইনি কিছুই বাংলা স্বাধীন হলে
পেয়েছি হা হাকার আর চোখের জল
কৃষক শ্রমিক হেন কাধে কাধে মিলে
মাটির বুকে সকলে ফলায় ফসল
কষ্টের এ সুবাধে বাংলাদেশ পরে
পৌঁছে যায় ভূবনে উন্নতির শিঁকড়ে

 

কোথায় তোর বাসা

কেরে ছোকরা তুই কোথায় তোর বাসা
কোন দেশে জন্ম তোর কোথায় থাকিস
কার সাথে সঙ্গ দিয়ে কি বা যে করিস
কেমন কাজ কর্ম কেমন তোর পেশা
কি রকম শিক্ষা দীক্ষা মনে তোর ঠাসা
কোথা থেকে এসে তুই হেথায় থাকিস
কুকর্ম ত্যাগে যদি সৎ পথে চলিস
তাহলে পাবি তুই সবার ভালোবাসা

কোথায় তোর বাসা হে তুই কার চেলা
কোন সাহসে আজ এসে এ এলাকায়,
ছদ্দবেশ ধরে খেলে লুকোচুরি খেলা
অপকর্মে লিপ্ত থাক সর্বদা বেজায়।
খোশ গল্পে কভু তুমি কারো অর্থ লুটে
সুযোগ বুঝে দ্রæত যাবে সিটকে সটে।

 

জেগে ওঠো বাঙ্গালী

জেগে ওঠো মাথাতুলে হে বাঙ্গালী জাতি
অচ্ছাদিত আঁখি তব স্বপনে নিদ্রায়
নির্বিঘেœ প্রশাসে অচেতন বাংলায়,
চেয়ে দেখ দেশে কত পাপী ভরা তাতি

লালসায় দেশের করছে কতো ক্ষতি।
সম্পদ সম্পত্তি বিপুল তবু দাপায়
কুচক্রী মহল রূপী অর্থ পিপাসায়
কত না চতুরস তায় করছে দুর্নীতি।

জেগে ওঠো বাঙ্গালী সময় বেশি নাই
ধরতে হবে ওদের যারা ধান্দাবাজ,
কোনো ক্রমে তারা যেন না পায় রেহাই
শৃঙ্খলিত ওদের করিতে হবে আজ।
এক সুরে গান গাও এ বাংলা জাতি
চলবেনা দেশে আর কোন ও দূর্নীতি।

 

বাংলার খাল বিল

এই বাংলায় নদী-নালা-খাল বিলে
দেখেছি নানা মাছ, প্রত্যহ শাড়ি ¯œান
তৃষ্ণা মিটে ফেলি নিত্য করি জল পান,
সাঁতার কেটেছি কত নামি গলা জলে
পাড়ার দুষ্টু যত শিশু সকলে মিলে।
¯œান কালে ডুবে ডুবে বোধি অনুমান
করিতাম কাদা ছেনে মাছের সন্ধান
এঅই সব স্মৃতি আজও যায়নি ভূলে।

প্রভূ আমি যেন ওই অপরূপ স্মৃতি
সারাজীবন নিয়ে থাকি এ বাংলায়,
ভূলি যেন আজ আমি পর যশ খ্যাতি
নিপাজ যাক মোর মনের গোচ রায়
পর খ্যাতি দেখে মোর লাভ নাই কোন
স্বদেশের চিতিতে চোখ জুড়ায় হেনো।

 

ভাষা জাতি দেশ

বাংলা ও বাঙ্গালী আর বাংলাদেশ
এই তিনটি হৃদয়ে ধারন করে যে
রীতি মতো ঘুরে চলে খুশির আমেযে
সে বড়ই মহান, গুরুজন বিশেষ
ধ্যানে জ্ঞানে মানে তার নেই কোন শেষ।
আতœা তার অতি বড় কোন আজে বাজে
করে নাকো চিন্তা সে ফুরফুরে মেজাজে
ভাষা জাতি ও দেশের সেবা করে বেশ।

“ভাসা জাতি বেশ” এ তিনের সমন্বয়ে
বেঁচে থাকা নিতান্তই গর্বের বিষয়
আর কিছু না হোক শুধু এ পরিচয়ে
উচু হয় শীর এতে নাহি সংচয়।
বাংলায় কথা বলা বাঙ্গালি স্বভাবে।

 

অধম বাঙ্গালি

বড়ই অধম মোরা কিয়ৎ বাঙ্গালি
কখনো কোন উপকারির উপকার
নির্দয় মনে করিতে না চাহি শিকার
উৎসাহে বরং আনন্দে চুন কালি
মুখে মুখে দিয়া তারে দিই কড় তালি
সংর্কী মনা মোরা শুধু বার বার
তাচ্ছিল্যে চিত্য সদা বিদীর্ন করি তার
এরকম অবভাব হৃদে গেথ চলি

সুযোগ বুঝে যারা নিত্য অবলীলায়
দেহ মনে মোদের জন্ম দেই দহন
এতোই মূর্খ মোরা তবুও নির্দিধায়
তোষামোদে তাদের করি পদলেহন
উপকারি যারা সদা ছুড়ে ফেলি তাকে
অপকারিকেই নেই টেনে বুকে

 

তুমি মহান

বাঙ্গালি জাতি মোরা তোমারি পদতলে
মাথা নুয়ে সালাম করি তুমি মহান
ছিলে সদা সারা বাঙ্গালি জাতির প্রাণ,
মহা গুণবান তুমি বঙ্গৈজন্মে ছিলে
করিতে শত কাজ কথার সঙ্গে মিলে।
বুক খানা ছিল তব পাহার সমান
আষ্টে পিষ্টে ছিল তাতে সাহসে পুরান
এমন ছিল না আর কেহ বিশ্ব কুলে

তাই তো বাঙ্গালি মোরা সর্র্বদা সবাই
স্মরণ করি তোমায় দোয়া করি কত,
তুমি যে অমর তোমার মরণ নাই
চিরকাল আছ মোদের মাঝে জীবিত।
তুমি মহান শত গুণের অধিকারী
মোরা শবে তোমার যোগ্য উত্তর সুরী।

 

রাজার রাজা

তুমি তো শুধু রাজা নও রাজার রাজা
হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী হয়ে
আছো তুমি সমস্ত বাঙ্গালীর হৃদয়ে,
যেন জীবন্ত কিংবদন্তী, তর তাজা
এক মহা পুরুষ রূপে মনোনে গাজা।
মানুষপটেও তো ছবি ¯্রােতে ভাসিয়ে
দৃশ্যমান বাকি সমস্ত যায় ডুবিয়ে
তোমাকে ভূলিতে পারা এতই কি সোজা ?

গানের সুরে বাঁশির সুরে সর্বক্ষনে
অন্তরে অকরে ধরে তোমায় সকলি,
আদর্শ তব জত নিদ্রায় জাগরনে
লালন করে অতি গর্বে সর্ব বাঙ্গালী।
বাংলাদেশ যত দিন রবে ভূবনে
তোমায় রাখিবে সবাই চির স্মরণে।

 

বঙ্গবন্ধুর দেশ

চেনো মোরে তুমি জন্ম মোর কোন দেশে ?
তীক্ষè ভাবে মনে তুমি করো তো স্মরণ
কোন দেশে বইছে ব্যাবাক উন্নয়ন
মাঠ ভরা শষ্য আর ডিজিটাল বেশে
লোকজন ঘুরছে তো আরাম আয়েশে।
এসব শুনে তার পানে চাহি যখন
পর দেশি বন্ধু মোরে জানায় তখন
“জন্ম বুঝি তোমার বঙ্গবন্ধুর দেশে।”

অট্ট হেসে কহিলাম, “সত্যিই কি তাই”
বাংলাতে জন্মী আমি ভাগ্যবান অতি
বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা কোথাও নাই।
তার জন্যে দেশটা পেয়েছে পরিচিতি
দেশে দেশে ঘুরে চলি যেখানে যখনী
বাংলাদেশের গল্প শেখানেই শুনি।

 

মুজিব মানেই বাংলাদেশ

হে মুজিব তুমি মানেই বাংলাদেশ
তুমি যে দিয়েছো বাংলার স্বধীনতা
হয়েছো বাঙ্গালীর মহান মুক্তিদাতা

অগনিত শোষিত যত বিশ্বে বিশেষ
গেয়েছো গান তুমি তাদের পক্ষে বেশ
যখনি পেয়েছো শোষকে কোনো ছুতা
রাঙ্গা চোখে তাদের দু’গালে মেরে জুতা
দিয়েছ গালি কত বলে বদমায়েস

সুখ নিদ্রা ছেড়ে তুমি সদা চেয়েছিলে
উঁচু নিচু নাই কোনো সব হোক সাম্য
সুখে থাক দেশে ধনি গরিব সকলে
করেছিলে ইহাই তুমি সর্বদা কাম্য
বাংলার মানুষের মুখে হাসি খুসি
দেখে তোমার মনে আনন্দ যেত ভাসি

 

জয় বাংলা

বীরত্ব গাথাঁ চিত্তে মুক্তির সংগ্রামে
অস্ত্র হাতে নিয়ে কি বা খালি হাতে কেহ
লরেছি মোরা সবে বাঙ্গালি অহরহ
মুখে তুলি ¯েøাগান ‘জয় বাংলা’ নামে
সঞ্চয় করি শক্তি বুকে দেশের প্রেমে
যুদ্ধের ময়দানে কি চিত্র ভয়াবহ
রণ কৌশলে শত্রæর শক্তিমান দেহ
ফেলে দিয়েছি ভূ-তলে বিপুল বিক্রমে

সুদীর্ঘ নয় মাস মুক্তি যুদ্ধের পর
মহা খুশি আজ মোরা সকল বাঙ্গালি
দুঃখ নেই মোদের কোনো বাংলার
স্বাধীনতার গান গাই নেচে সকলি
বুকে তাজা রক্ত মা-বোনদের সম্মান
বিসর্জন দিয়েছি আরো লক্ষ পরান

 

বাংলার উন্নয়ন

বাংলার বদনাম তোরমা যে জন
করেছ একাধারে উঁচু তলায় বসি
দেখে যাও আজ এই বাংলায় আসি
বাড়ি ঘরে পথে ঘাটে কত উন্নয়ন
দেখিবে জুড়াইবে তোমাদের দু’নয়ন
অতীতের দারিদ্র ধুলাতে সব মিশি
ব্যপাক উন্নয়নে দেশ যেতেছে ভাসি
দেখ এসব খুলে চোখের আবরন

তোমরা বলিতে যারা মনের আক্রশে
বাংলাদেশ নাকি ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’
দেখে যাও তোমরা আসি বাংলা দেশে
কারো সাথে নেই কোন বাংলার জুড়ি
শিক্ষা, বস্ত্র, খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থানে
সবার শীর্ষে বাংলার তাহা কে না জানে

 

বাংলার বঙ্গবন্ধু

যখনি দেখি আমি আকাশে বাতাসে
তখনি তোমাকে শুধু দেখিতে পাই
এখান থেকে সেখানে চলিছ যে তাই
অদৃশ্য হয়ে যেন বায়ুর সঙ্গে মিশে
যাদুকরের মতো অবলিলায় হেসে
যখনি কোন খানে পথ বেয়ে যাই
মাঝে মাঝে চতুরদিকে দাপিয়ে বেড়াই
তখনি সব স্মৃতি চোখে মোর ভাসে

কৃষক সেজে যখন মাঠে মাঠে ঘুরি
তোমায় দেখি যখন ফসলের মাঝে
এই কেমন কায়া তব নেইতো জুরি
যেখানে যাই আমি থাক তুমি তুঝে
সর্বদা দেখি যেন তোমায় ওগো বন্ধু
তুমি যে বাংলার সবার বঙ্গবন্ধু

 

জাগো হে বাঙ্গালি

জাগো হে বাঙ্গালি আজ জাগিবার কাল
বহুদিন হয়ে গেল তবু জাগ নাই
সাথে মোর এসো হেন খুনিদের ভাই
খুজিয়া দেখি আরও কুচক্রী দালার
কোথায় আছে ওরা তবিয়তে বহাল
দেশ হোক বা বিদেশে যদি খুঁজে পাই
বঙ্গবন্ধুকে খুন করেিয়ছে যারই
নিজ হাতে তাদের জান করিব ফাল

নিশি দিন ভাবি শুধু শুয়ে বসে বসে
বিশ্বাস ঘাতকের কি দম্ভ অহরহ
দেশ দিল বঙ্গবন্ধু তবু অবশেষে
জান টাও নিল তার পরিবার সহ
ঐ পাপী খুনি ও তাদের অনুসারীরা
ধ্বংস হয় যেন শীঘ্র সমুলে তারা

 

ধন্যি হলো মোর জীবন

ধন্যি হলো জন্ম মোর জন্মে বাংলায়
সবুজ তরু পল্লব সুনিবিড় ছায়া
শিতল করিছে এতে নিত্য মোর কায়া
মাঠ ভরা সোনালি ধান সদা দুলায়
এমন দৃশ্য দেখে মোর মন জুড়ায়
গাছে গাছে পাখি সব উড়ে দোল খায়
সকাল সন্ধ্যায় তারা হেলিয় দুলিয়া
মনের আনন্দে কতো গান গেয়ে যায়

বঙ্গতে জন্মে আমি সার্থক হনু অতি
আর কিছু পাইবার আশা মোর নাই
দেখিয়েছি বাংলার শ্যামল প্রকৃতি
এর অধিক দেখিতে পাই বা না পাই
সারা জীবন তোমার বুকে মাথা গুজে
শান্তিতে ঘুমাই যেন দুই চেখি বুজে

 

প্রকৃতির দান

থাকিতে চাই না আমি অন্য এক দেশে
বাংলা যে মোর চির প্রিয় জন্ম স্থান
আকাশে বাতাশে মিশিয়েছে মোর প্রাণ
বঙ্গবন্ধুর এ স্বাধীন বাংলাদেশ
উড়িব ব্যোমে নিত্য মুক্ত বিহজা বেশে
দু’চোখ ভরে দেখিবো প্রকৃতির দান
শীতল ছায়া দিয়েছে যে ¯্রষ্টা মহান
সবুজ প্রকৃতির দানে বাংলা ভাসে

বঙ্গবন্ধু দিয়েছে স্বাধীনতা তাইতো
মন মোর সর্বদা দেশে থাকিতে চায়
মুক্ত সমিরনে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো
জ্বলিয়া চলিব সারা গ্রাম বাংলায়
ক্ষুধা মোরে কিছু করিতে পারিবে না তো
চলিতে পারি যদি দেশে স্বাধীন মতো

 

বঙ্গবন্ধুর জন্ম যেথা

স্বপনে গেছিনু আমি অন্য এক দেশে
সাথে মোর নাহি কেহ আমি একজন
দেশি সেথা এক পরিবার পরিজন
আঙ্গিনায় আছে ওরা সব মিলে মিশে
মধ্যে এক বাবুসাব কেদারায় বসে
দেখিয় পুছিলো মোরে রাঙ্গিয়া নয়ন
‘কে গো ভাই তুমি তাকিয়া আছো অমন
দাড়িয় আছো কেন হেতা কোথ্থেকে এসে’

কহিলাম আমি, ‘জন্ম মোর বাংলায়
সবুজে ঘেরা বৈচিত্রময় এক দেশ’
চিনতে পারিলো না বাবু ফের জিগায়
‘চিনিনা তো ভালো করে বলো কোথায় সে ?’
‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম যেথা’ কহিনু আর
‘জন্ম মোর সেথা’ বাবু চিনলো এবার

Leave A Comment