Search Here

শেয়ালের বিয়ে

Home / শেয়ালের বিয়ে

শেয়ালের বিয়ে শেয়ালের বিয়ে শেয়ালের বিয়ে

শেয়ালের বিয়ে

Spread the love

চতুর্দশপদী কবিতা
ছোটদের জন্য ছড়া
(অষ্টাপদি)
শেয়ালের বিয়ে
মোঃ আহসান হাবীব

সহযোগিতায়ঃ
মিসেস; জেসমিন আরা

শ্রোতী লিখনঃ
আনহার তাসনিম (অনন্যা)

আল-আদনান (জিদান)

সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ
মোঃ আরিফুল ইসলাম

উৎসর্গঃ
আরাফ বাবু, আনাস বাবু

আব্দুর রাহমান

সম্পাদনায়ঃ
মোঃ আতিকুর রহমান

উৎসাহেঃ
বন্ধু-বান্ধব

মুদ্রনে
মোঃ রাকিব হাসান

শুভেচ্ছান্তেঃ
মোঃ আশরাফুল ইসলাম

ধন্যবাদান্তেঃ
মোছা: পাহেলি খাতুন পাইলী

**********************************************

 

 

হাবু গাবু (১)
হাবু গাবু দুই ভাই
ঘাটে আছে “মরা গাই
তা দেখে দুভাই মিলে
নেচে উঠে কোলো হলে
হাবু চায় সঙ্গে নিতে
গাবু চায় রেখে যেতে
এই নিয়ে দুইজন
তর্ক করে সারাক্ষণ

রোহিঙ্গা (২)
স্বদেশ মায়ানমার
সেথা থেকে হয়ে পাড়
রহিঙ্গারা বাংলায়
এসিয়ে থাকিতে চায়
হেথা নাকি সুখ বেশি
এই ভেবে দিবানিশি
পরিবার সমুদয়
বাংলায় জরো হয়

পাশাপাশি (৩)
আমি আছি পাশাপাশি
তোমার ঐ কোল ঘেষি
কত সুন্দর তোমার
রূপের দম্ভ বাহার
তোমার মুচকি হাসি
দেখে বেশ হয়ে খুশি
অন্তর মোর বেজায়
শান্তিতে জুড়িয়ে যায়

রাজ হাঁস (৪)
নলেয়া নদীর পাড়ে
দুই পা বিস্তর ছেড়ে
সারাটা বিকেল বেলা
বসিয়ে আমি একলা
পাশে এক রাজ হাঁস
ছেড়ে যেন দীর্ঘশ্বাস
কহিল আমায় হেন
একলা বসিয়ে কেন

হাটি হাটি পা (৫)
হাটি হাটি পা পা করে
মাটিতে পিছলে পড়ে
শিখলাম হাটা চলা
সুখ দিয়ে কথা বলা
তারপর ধীরে ধীরে
বড় হনু একবারে
আর কোন ভয় নেই
যাহা পায় করি তাই

মেঘের ডাক (৬)
আষাঢ় মাসে আকাশে
মেঘ উড়ায় বাতাসে
মেঘে মেঘে ধাক্কা লেগে
শব্দ করে অতি বেগে
সেই শব্দে কত লোক
গিলে খায় ভয়ে ঢোক
ফের কেহ দ্রুত পদে
সরে যায় নিরাপদে

খেতে হাসি নয় (৭)
ঐ বাড়ির কাকা কাকি
এ মনকি তারা নাকি
ভাত খাওয়ার কালে
পানি খায় কৌতূহলে
এখন সময় কাকা
হেসে ওঠে একা একা
দেখে তাই কাকি কয়
খেতে বসে হাসি নয়

ফুলকি (৮)
এই গ্রামের ফুলকি
মাথায় দিয়ে টুলকি
নৃত্য হেসে গ্রাম জুড়ে
বেড়ায় সে ঘুরে ঘুরে
কারো কথাই শোনে না
নিজের সখ ছাড়েনা
চঞ্চলা চপলা সেত
সদাচলে ইচ্ছা মত

অপচয় (৯)
হর্ষে যদি অহরহ
অপচয় করে কেহ
চিরকাল অনটন
গৃহে তার অনশন
করিবেইতা করিবে
এমন কাল আসিবে
তখন সে সেইদিন
হয়ে যাবে গৃহহীন

মিষ্টি খাও (১০)
এই দিকে দেও দৃষ্টি
দেখ থালা ভরা মিষ্টি
বোল ভরা চম চম
দুধ দই সর্ব সম
খাও আর গান গাও
আনন্দে ঘুড়ে বেড়াও
এরপর এলেফর
থালা ভরে দিব ঢের

মুড়ি খাওয়া (১১)
গুড় দিয়ে খাই মুড়ি
খেয়ে দেয়ে সদা ঘুরি
আম জাম আরো ফল
তার পরে খাই জল
দুধ দই মিষ্টি যত
খাইতা সময় মত
নুন দিয়ে পান্তা খেয়ে
নিশিতে যাই ঘুমিয়ে।

চুলচুলো (১২)
আয় রে তোরা ছেলেরা
থাকরে তোরা মেয়েরা
নদী ভরা জল দেখে
পড়বি তোরা অসুখে
মোরা সব ছেলে গুলো
সদা খেলি চুলচুলো
যতই পানি হোকতো
মোরা তাতে নাই ভীত

আলসে (১৩)
হাবু বোঝায় আলসে
ঘুম থেকে উঠে শেষে
খাবার খেতে চায় না
ক্ষীদেও পেঠে সয়না
সবার খাওয়া হল
আমতা আমতা বলে
খাবার চায় যখন
পায় না খেতে তখন।

চাঁদ মামা (১৪)
চাঁদ মামা দেখি আজি
দিচ্ছে আলো সোজাসোজি
সারাটা আকাশ জুড়ে
স্নিগ্ধ তায় ভর পুরে
জোনাকিরা এসময়ে
কাদো কাদো কন্ঠে কয়
কেন যেন মোর আলো
হঠাৎইনিভে গেল

ইতিহাস (১৫)
ইতিহাসে আছে যথা
মিথ্যা নয় সত্য কথা
বঙ্গবন্ধুর খুনিরা
চিরকাল পাপি ওরা
যদি কভু দেখা পও
তাদেরকে পাকরাও
ওদের বেঁচে থাকার
নেই কোনো অধিকার

আম খাব (১৬)
আজ নাহয় কালকে
আমিও কিন্ত সতকে
ওই পাড়ে মোড়া যাব
চুরিকরে আম খাব
যদি কেউ দেখে ফেলে
ভদ্র বেসে বৃক্ষ তলে
দাড়িয়ে সালাম দিব
পরে হা করে হাসির

চাঁদমামার আলো (১৭)
চাঁদ মামার আলোতে
চলো বন্ধু বেড়াইতে
নিশিকালে স্বচ্ছ দ্যুতি
চোখ ভরে দেখে অতি
ঘুরবো দুজনে মিশে
মন রম পরিবেশে
সারারাত ঘুরে পরে
প্রস্থান করবো ঘরে

সূয্যি মামা (১৮)
সূয্যি মামা সূয্যি মামা
তোর আজ বেগ থামা
তোর তাপের কারণে
গা ভিজে যায় এমনে
একটু জিড়োই পরে
তাপ দিস নির্বিচারে
নইলে তোর বাপেরে
ধরে আনব সজরে

ডিম (১৯)
আহা টিম টিম টিম
হাঁস পাড়ে বড় ডিম
তার চেয়ে ছোট আর
তা হলো মুরগিটার
বাসা বাধে পাখি ডালে
ডিম দেয় তালে তালে
বাবুই পাখি থাকে কি
ঝুলন্ত বাসায় নাকি

শিয়ালের বিয়ে (২০)
রোদ এলো বৃষ্টি এলো
শিয়ালের বিয়ে হলো
বর কয় শিয়ালনী
খোশ গল্প করো শুনি
কনে বলে ও গো বর
একটু সুবুর কর
রোদ বৃষ্টি আর নাই
কনে বলে থাকো যাই

যদি হও বউ (২১)
তুমি যদি হও বউ
জানি বেনা আর কেউ
বধূ সেজে বিভুইয়ে
ঘুরবো তোমায় লয়ে
পরশিরা এই শুনি
করবে যে কানাকানি
মুখ চোরা বলে বুলি
দিবে যেন গালাগালি

প্রেমের সাগর (২২)
প্রেমের সাগরে আসি
সাতার দিতেছি ভাসি
দিন মাস পর হলো
বছর পেরিয়ে গেল
প্রিয়সীর দেখা নেই
বলতো কি করি ভাই
শত জ্বালা বুকের মোর
খোজ দাও মোরে ওর

ময়না (২৩)
সোনার পাখি ময়না
গা জুরে তার গয়না
মেহোমান এলে ঘরে
হাস্ত্রেজ্জল মুখ করে।
এ সময় অবিরত
কুশল জিগায় কত
এই মাত্র এলে নাকি
বাড়ির সমাচার কি?

টুনটুনি (২৪)
ছোট পাখি টুনটুনি
গান গায় গুনগুনি
ঠোট তার সুজযেন
পাতা মুড়ো যেনতন
ত্বরা করে দমাদম
বাসা বাদে এক দম
সর্বদা সেই বাসায়
সুখে পাখি নিদ্রা যায়

ব্যাঙ্গের কাশি (২৫)
জ্বড়ে পড়ে ব্যাঙ্গ কাশে
তাই দেখে মাছ হাসে
মাছ ভাবে মনে এই
ব্যঙ্গ হেন যাবে কই?
ভাবতে ভাবতে সত্যি
মাছ করে দম্ভ অতি
ব্যঙ্গ তখন লজ্যায়
দ্রুত পানিতে লুকায়

বকনা বাচুর (২৬)
বকনা বাচর হাম্বা
নাচ দেয় সদা সাম্বা
ভোদৌড়ে এসে যখন
মায়ের কাছে তখন
লেজ নেড়ে ইশারই
ক্ষুধার তীব্র জ্বালায়
দুধ খেতে চায় তার
মমতা মায়ী মাতার

যদু মিয়া (২৭)
হাটে যায় যদু মিয়া
দুই হাতে বেগ নিয়া
পিছে তার ছেলে মেয়ে
দুটছে হুমড়ি খেয়ে
যদু মিয়া করে রাগ
বলে তাদের যা ভাগ
যদু দেখে আরো পিছে
শাড়ি পরে বউ আছে

ছাগল (২৮)
একটি নিয়ে ছাগল
দুভাই হয় পাগল
গলা দরে এক ভায়ে
তৈল সাথে সারাগায়ে
আর একজন মস্ত
খাবার দেয় গোসত
এ ভাবে টেনে হেসড়ে
ছাগল টা ফেলে মেরে

বৌ (২৯)
বৌ যায় বাপের বাড়ি
গায়ে দিয়ে লাল শাড়ি
দুই হাতে শাখা তার
নূপুর পায়ে আবার
নাকে নোলক কপালে
টিপ দিয়ে হেঁটে চলে
ফিতা ছাড়া বেনি চুল
এ টুকুই তার ভুল

শিয়াল পন্ডিত (৩০)
হাতি বানর শিয়াল
করিয়েছো কি খেয়াল
খায় বেশি শক্তি অতি
সে হলো বিস্তর হাতি
কাজে নয় আজে বাজে
তাতেই বানর সাজে
হার নয় শুধু জিত
সেতো শিয়াল পন্ডিত

পোনা (৩১)
সাগরের জল লোনা
ইলিশ মাছের পোনা
একসাথে সেই জলে
ভেসে চলে দলে দলে
একা একা হলে পড়ে
বড় মাছ ধরে তারে
জবে তারা বড় হয়
আর যেন ভয়নয়

গায়ের বধূ (৩২)
ঘোমটা মাথায় দিয়ে
আলতা পরা দু পায়ে
গায়ের বধূ কোথায়
আস্তে আস্তে হেটে যায়
ননদেরা তাই দেখে
টিপ কাটে আড় চোখে
হায় বাপু কত ঢং
গায়ে মাখে রং চং

ফুল তুলি ৩৩
ফুল তুলি ফুল তুলি
ছেলে মেয়ে সব গুলি
সেই ফুলের মালায়
পড়া পড়সি গলায়
পড়ি আমরা সবাই
গ্রামেতে ঘুড়ে বেড়াই
দিন শেষে পড়ে সব
গৃহে করি কল রব

শাপলা ফুল (৩৪)
শাপলা ফুলের মালা
ভরপুর করে ডালা
পথে চলে সথি সখা
যদি হয় কারো দেখা
মালা দিয়ে তার গলে
যথা মূল্য নেয় তুলে
হাসাহাসি করে পরে
গৃহে যায় তারা ফিরে

সুখ দুখ (৩৫)
সুখ দুখ মিলে মিশে
মোর কাছে ছুটে এসে
থাকে যেন একসাথে
একই সুতায় গেথে
এই আশা শুধু মনে
জপ করি সারাক্ষণে
সুখ দুখ হেন তাই
থাকে যেন ভাই ভাই

দিন রাত (৩৬)
দিন রাত ভাই ভাই
কিছুক্ষণ পর তাই
একজন আলো করে
অপর জন আধারে
পালা কর্মে এসে তারা
করে ফেলে দাই সারা
এভাবেই বাজি মাত
করে তুলে দিন রাত

চন্দ্র সূর্য (৩৭)
চন্দ্র সূর্য মুখো মুখি
থাকে তারা দেখাদেখি
একজন উঠে জবে
অপর রয় নীরবে
অপরাপর আকাশে
পালা করে উঠে আসে
এই ভাবে দুই জন
জালিয়ে তোলে ভুবন

মেলা (৩৮)
বন্ধু চলন মেলায়
ওই ধুন্দল পাড়ায়
মোর কাছে টাকা যত
সে টাকায় মতো ইচ্ছা মতো
সারা মেলা ঘুরে ঘুরে
মিষ্টি খাব পেটভরে
কিনিব তোমার ঘড়ি
আর মোর ফিতা চুড়ি

হাসি কান্না (৩৯)
হাসি কান্না একসাথে
একই সুতায় গেথে
মনের মাধুরি মিশি
চলে সদা পাশাপাশি
শুখের বেলায় হাসি
দুখ কালে কান্না আসি
সারাটা জীবন কাল
করে উতাল পাতাল

কাবাডি (৪০)
চারপাশে কলকালা
হাতে হাতে হাত তালি
মধ্য খানে শোর গোল
যেন কত গন্ডগোল
কেহ ধরে কারো ঠ্যাং
কৌশলে চিট পটাং
দস্তা দস্তি হাড্ডা হাড্ডি
এরই নাম কাবাডি

কিতকিত খেলা (৪১)
কিত কিত কিত কিত
শিশু গেয়ে এই গিত
ফাকা মাঠে দিয়ে দাগ
হয়ে যায় দুই ভাগ
মাথায় বসিয়ে খোলা
ঠ্যাং করে তোলা তোলা
দাগা ঘরে দেয় দোলা
এটা কিত কিত খেলা

নৌকা বাইচ (৪২)
চল ছেলেরা নদীতে
নৌকা বাইচ খেলতে
নৌকার উপরে চরে
এ পার থেকে ও পারো
চলে যাবো ধরে বাজি
কোলা হলে মোরা মজি
আগে ভাগে সেই যাবে
পুরস্কার সেই পাবে

বাবু সাব (৪৩)
আম জাম পাকা কলা
গাল ভরা টাসা মুলা
খেয়ে দেয়ে হাব ভাব
মোরোলের বাবু সব
যেই পথে যায় চলে
পথ ঘাট কেঁপে তুলে
চলা ফেরা দেখে তায়
অন্যরা সরে দরায়

মার কথা (৪৪)
মা কয় ভাতের পাতে
প্রতিদিন ওঠে প্রাতে
মন দিয়ে লেখা পড়া
পড়ে করো ঝরঝরা
অবসর পেলে তাও
ফাকি যদি নাহি দাও
তাহলে জীবন তবে
পরিপূর্ণ হয়ে যাবে

মাটির কূপি (৪৫)
নিশিতে মাটির কুপি
সাধ্য মতো চুপি চুপি
জ্বলে ফের গর্বে বলে
এমন আরকে জ্বলে
পড়ের দিন আকাশে
সূর্য যবে ওঠে আসে
কুপি বলে দেখে তাই
ওতো মোর বড় ভাই

জলদাস (৪৬)
আমি আছি তুমি তাই
সব কাজ ফেলে ভাই
ছিরে ছুটে তাড়াতাড়ি
চলে এস মোর বাড়ি
দুজন আনন্দ মজি
জম দাস ঠেলে সাজি
দুহাতে ধরে পালাই
পুড়ি পুরু খলাই

রিমঝিম বৃষ্টি (৪৭)
আয় বৃষ্টি রিমঝিম
কলা খেতে তোকে দিম
জানিস কি কোন কলা
যে কলার ছাল তোলা
ছাল নাই মিষ্টি বেশ
দেখিতে যেন সন্দেশ
সে কলা যখন খাবি
তখন তো থেমে যাবি

ঘেউ ঘেউ (৪৮)
কুকুরের ঘেউ ঘেউ
শেয়ালের কেউ কেউ
শুনে থমকে দাড়ায
অন্যরা ভয়ে পালায়
সাহসি শিয়াল যারা
তারা দেয় জবে তারা
তাড়া খেয়ে কুভা গুলো
হয়ে যায় পথভুলো

পুতুলের বিয়ে (৪৯)
পুতুলের বিয়ে আজ
ঘরবাড়ি সাজ সাজ
সানাই বাজলা কতো
বাজিতেছে অবিরত
বিয়ে তাই উপলক্ষ
ঐ আসছে বরপক্ষ
সাথে সাথে ছোকড়ারা
বরকে দেয় পাহারা

খুকুমনি (৫০)
ওই মোর খুকু মনি
ভাত খায় মিশে চিনি
দুধ টুকু সাদা বলে
রাগ করে দেয় ফেলে
তৃষ্ণায় জল আবার
পান করে বারে বার
ক্ষুধার উদ্রেক হলে
যা পায় তা ভেঙ্গে ফেলে

পাতা (৫১)
আম পাতা জোড়া জোড়া
তেঁতুল পাতার তোড়া
তাল পাতার পাখনা
কলা পাতার ঢাকনা
ঝড় বৃষ্টি কভু হলে
কচুরি পাতার তলে
লুকায় ব্যাঙ্গ তথায়
তবুও সে ভিজে যায়

পাগলামি (৫২)
কোথা যাও বন্ধু তুমি
করনাতো পাগলামি
হাত মুখ ধুয়ে এসো
চুপ করে খেতে বসো
দুধ ভাত কলা আম
সাথে আছে কালো জাম
এ সকল তুলে নাও
পেট ভরে খেয়ে যাও

বঙ্গবন্ধু (৫৩)
বঙ্গবন্ধু তুমি নাই
কার কাছে বল যাই
ছিলে তুমি নীতিমান
নেতৃত্ব গুনে মহান
অভাগীনি হতভাগা
আরো যত দূরভাগা
ওদের কে ভালোবেসে
খেয়ে ছিলে নিয়ে পাশে

ঠিকানা (৫৪)
পদ্ম মেঘনা যমুনা
এই দেশের ঠিকানা
নাম যে বাংলাদেশ
সারাবিশ্বে খ্যাতি বেশ
ধান গম চাল তার
রয়েছে ভারা ভান্ডার
খেয়ে দেয়ে হলে বেশি
নিয়ে যায় পর দেশি

নান্টু মন্টু (৫৫)
নান্টু মন্টু দুই জনে
চলে তারা এক মনে
এক সাথে বসে খেতে
যা পায় তখন পাতে
সম ভাবে ভাগ করে
পূরন করে উদরে
পরে হাসে খিলখিল
এমন তাদের মিল

দুষ্ট (৫৬)
দেখে যাও আরে ভাই
খাস খায় মরা গাছ
এই বলে দুষ্টু গুলি
জোরে দেয় হাত তালি
তাই দেখে বধূ পাশে
আচলে মুচকি হাসে
বড়রা হেন আশায়
দুষ্টুরা দৌড়ে পালায়

বিড়ালের ঘাড় মটকানো (৫৭)
বিড়াল এক ঘরতে
হেন কালে কুকুরটা
নাড়িয়ে তার লেজটা
ঘোরাঘড়ি করে কাছে
যেতা ভাত রাখা আছে
দেখে তাকে বিড়ালটা
মটকে ধরে ঘড় টা

বিড়ালের বিয়ে (৫৮)
বিড়াল তার বিয়েতে
ডাকে নাই দাওয়াতে
খোসসা করে ইঁদুর
গায়ে জরিয়ে মাদুর
সানাই বাজনা ঢোল
বেজে করে শর গোল
এসব দেখে বিড়াল
পালায় হেরে খেয়াল

বিয়ে বাড়ি (৫৯)
বিয়ে বাড়ি হলো পন্ড
দেখ কুকুরের কান্ড
কোথায় গোসত হাড়
খুঁজে দেখে বারবার
যদিও পায় একটা
কুকুর আছে যে কটা
খেতে তাই পিরাপিরি
করে দেয় মারামারি

দিন দুপুর (৬০)
দিন দুপুরে বাপরে
ডাকাতের ডাপটরে
আপসে যদি না দিস
এই বলে হিসাহিস
মালামাল যত ঘরে
ছালা ভরে লুট করে
তারপরে জমকার
দিয়ে দেয় হুমকার

বিবাগি (৬১)
ডাকিস না পিছু মোরে
যেতে হবে বহু দূরে
দেখি আছেকি জগতে
চলেছি বিবাগি হয়ে
ছন্ন ছড়া মন নিয়ে
মন যেথা যেতে চায়
সেইখানে যাব হায়

সুখ চান (৬২)
সুখ চানের অসুখ
তাতে নেই কোনো দুখ
ঔষধ তার লাগে না
খেতেই তার বাছনা
অসুখ যখন আসে
তখন সে শুধু হাসে
মনে হয় বাতলামো
এই হলো তার ব্যামো

বাঘের ভয় (৬৩)
বাঘ কয় এসে তেরে
কে ঢুকল গত মোরে
শেয়াল কয় বাঘ কে
মাথা তুলে গত থেকে
আমি পণ্ডিত এসেছে
তোকে ধরব ভাবছি
বাঘ শুনে ভয়ে কয়
ওটা মোর গত নয়

রাজা (৬৪)
মাছের রাজা ইলিশ
দেশের রাজা পুলিশ
সব দেশে এই হয়
বাংলায় কিন্তু নয়
পুলিশ হলো সেবক
জন সেবায় বাহক
ইলিশ হতেও পারে
প্রজা তার সারে সারে

হরিণ (৬৫)
হরিণের বাকাশিং
নাচে তিরিং বিরিং
ঘাস আর লতা পাতা
এই তার প্রাণ দাতা
গোস্ত যদি পায় কভু
বাঘ নাকি তার প্রভু
তাই দিয়ে তা বাঘকে
সামলে নেয় নিজেকে

মশা মাছি (৬৬)
মশা মাছি ভাই ভাই
এক সাথে চলে তাই
মশা দিনেতে ঘুমায়
রাত্রে সে সুচ ফোটায়
মাছিফের দিবা বেলা
সঙ্গী শহকরে খেলা
এই ভাবে তারা চলে
দিনে রাতে হেসে খেলে

বল (৬৭)
ওই যে জ্বলে বোয়াল
চ্যাপটাবেশ চোয়াল
লেজ খানা তার সুরু
গর্দান টা পুরু পুরু
গভীর জলে থেকে সে
সাতরায় অনায়াসে
ছোট মাছ পেলে পাড়ে
গিলে ফেলে ঢোক করে

মোর বউ (৬৮)
মোর বউ বুল বুলি
হেসে চলে গাল ফুলি
কথা বলে চপাচপ
হেটে চলে খাপাখপ
মোটা সোটা দেহ আর
বেশালম্বাচল তার
কাজের বেলায় শুধু
ভাব খানা নববধূ

সোনা ভান (৬৯)
ওই বাড়ি সোনা ভান
গাল ভরে পান খান
অতিথি আসলে পরে
নিয়ে যায় টেনে ঘরে
পাড়া পড়শি আসায়
পিঁড়েতে ধরে বসায়
তারপরে গল্প বলে
বাড়ি খানা জমে তুলে

হিংসা (৭০)
তোরা বেজায় আলসে
দেখাস কত হিংসা
কখনো কাজের কালে
চলে যাস মিথ্যা ছলে
এ রকম হলে পরে
ভালো হতে পারি নারে
যদি ভালো হতে চাস
ছেড়ে দে বদ অভ্যাস

লালু (৭১)
আজিম পুরের লাল
গায়ে দিয়ে লাল শালু
ঘুরে ঘুরে সারা গ্রাম
গেয়ে যায় ধুমধাম
গ্রাম বাসি সেই গান
মুগ্ধ হয়ে শুনে যান
সেই গানের বিরহ
শান্ত করে দেয়দেহ

সিদ্ধ মাছ (৭২)
হায় হায় একি শুনি
বক করে কানাকানি
অগ্নি দগ্ধে জল তাই
পুড়ে হলো সব ছাই
ছোট বড় সব মাছ
সিদ্ধ হয়ে পরে আছে
যেই মোরা সেথা যাই
তাড়িয়ে দেয় সবাই

সাহসী যুবক (৭৩)
ছেলেরা কোমর আটি
হাতে লাঠি বেশ কাটি
সাহসী যুবক যারা
আগে আগে যায় তারা
কেহ কেহ ঘাবরিয়ে
পালিয়ে যায় ভাগিয়ে
কিছু দুষ্ট ছেলে পেলে
জড়ে তারা হট্টগোলে

সোমবার (৭৪)
সোমবারে ছিল ছুটি
দুগায়ের ছেড়ে জুটি
খেলতে গিয়ে সবাই
বাধায় তীব্র লড়াই
ছোট্ট একটি কথায়
দুপক্ষ গোফ পাকায়
বল নাকি নয় গোল
ইহাতেই গন্ড গোল

সাইকেল (৭৫)
সাইকেল ঘাড়ে নিয়ে
হেঁটে চলে খালি পায়ে
জুতো জোড়া হাতের তার
ক্ষয় রোধ করিবার
কথায় কথায় বলে
সাইকেল যদি চলে
নষ্ট হতে ক্ষনকিন্তু
লাগিবেনা অধিকন্ত

জলে বাসা (৭৬)
ডিম পাড়ে মাছ গাছে
কভুকি কেউ দেখেছে
শোন আরো পাখি জলে
বাসা বাধে থাকে বলে
মানুষেরা হাটাহাটি
করে বেশ ফাটাফাটি
দুই হাতে হেঁটে চলে
পা দুটো উপরে তুলে

বাপবেটা ওরা চোর (৭৭)
বাপবেটা ওরা চোর
সদা খোজে ঘর দোর
দুজন একত্রে রাতে
বাহির হয় চুরিতে
দিনে খায় ছেলে কিল
তবু হাসে খিলখিল
এটা হলো অভিনয়
গ্রাম বাসি তাই কয়

খেলাঘর (৭৮)
বন্ধু বান্ধব সকলে
বই খাতা ক্লাসে ফেলে
খেলা ঘরে যায় সব
হইহই কলরবে
মাস্টার মশাই হাতে
দাবড়িয়ে দেয় বেতে
ছাত্র গুলো ভয় পেয়ে
ক্লাসে বসে দৌড় দিয়ে

নাচনেওয়ালী (৭৯)
নাচনেওয়ালী নাচে
ছেলেরা সব উপচে
চৌদিকে গিরে দারায়
ওই মোড়ল পাড়ায়
মোড়লে এসব দেখে
লাঠি দিয়ে দেয় রুখে
আর এতে ছেলে গুলি
শুরু করে গালাগালি

বাংলাদেশী (৮০)
আমি যে বাংলাদেশী
সর্বদা থাকি সাহসি
কোনও কিছু তোয়াক্বা
না করেই মারি ছক্কা
অসভ্যর কাজ বেশ
নিমিষেই করি শেষ
এই পালোয়ান গিরি
দুনিয়ায় যায় ছড়ি

ভন্ড (৮১)
সপ্পুটার দেখ কান্ড
সেজে এক মস্ত ভন্ড
মাথায় দিয়ে পাগরী
ঘুরে চলে বাড়ি বাড়ি
লোকে বলে বেশ বেশ
এসে গেল দরবেশ
পিছনে শিশুর দল
করতেছে কোলাহল

দাদু ভাই (৮২)
দাদা আছে মোর কাছে
দাদি দেয় ভাত পাছে
ইহাতে দাদু বাসায়
হাসি ঠাট্টা মস্কবায়
বলে সে সচরাচর
আমি নই নাতি বর
আমি বলি দাদু ভাই
তুমি থাক আমি যাই

হাসা হাসি (৮৩)
বেশি হাসি ভালো নয়
এই কথা দাদু কয়
সেই হাসে বেশি বেশি
দাঁত যায় তার খসি
মুচকি হাসে সে পড়ে
মুখ খানি নত করে
খেতে বসে দরকার
চুপচাপ থাকবার

হাঁস ও বক (৮৪)
বেলা শেষে সন্ধ্যা ক্ষণে
হাঁস ও বক দুজনে
বাড়ি ফেরার সময়
মুখো মুখি দেখা হয়
কেবা আগে যাবে বাড়ি
এই মত বাজি ধরি
কার বাড়ি কতদূর
এই বলে দেয় দৌড়

বিল (৮৫)
বিলে পানি থই থই
হাঁস ডাকে টই টই
সাদা বক সারে সারে
আসে উরে দুই পারে
মাছ পায় যদি কেহ
সেটা নিয়েই কলহ
হাঁস বক ঠোঁটে ঠোঁটে
শুরু করে এক ঘাটে

অজুহাত (৮৬)
সুকুর আলী কদম
খায় নরম গরম
কাজ থাকলেও কোনো
নিত্যৃ অজুহাত হেন
পেট ধরে তারাতারি
বলে হায় মরি মরি
বৌদ্য দেখে বলে তাই
তার কোনো রোগ নাই

কুমির মাছের পেটে (৮৭)
কুমির মাছের পোট
শুনে তাই তিমি চটে
ডাকিলে সভা সকলে
হাজির শোল বোয়ালে
বোয়াল বলে শোলকে
ধরব বেটা তিমিকে
তিমি শুনে বলে তাই
এর মধ্যে আমি নাই

হরিণের নাচ (৮৮)
পতুলের বিয়ে হবে
হাতি ঘোড়া সঙ্গে যাবে
হরিণ যাবে নাচতে
কোকিল যাবে গাইতে
বাকি সব পশু পাখি
বসে রবে দেখা দেখি
সব দেখে শেয়াল
হারাবে তার খেয়াল

নজরুল (৮৯)
ঝাকড়া ঝাকড়া চুল
মুন্ডে বাতি নজরুল
গান গেয়ে হেটে যায়
ফুঁদিয়ে বাশি বাজায়
মাঝে মাঝে তালে তালে
গান গাইবার কালে
জামা ধরে নেচে উঠে
আস্ত যেন যাত্রা মাঠে

রবীন্দ্রনাথ (৯০)
রবীন্দ্রনাথ হায়রে
কোথায় সেজে বাপরে
মুখে তার লম্বাদড়ি
তাতে কারো নাই জুড়ি
এক বার দেখা দাও
আমায় গান শোনেও
তবে হস্ত শিল্প গুন
চিত্রে দেখায় নিপুন

কুমিরের জ্বর কাশি (৯১)
হাটু জলে নেখে আমি
করি লাম গোয়া তুমি
কোত্থেকে কুমির এসে
জিগাইলো জ্বরে কেশে
এখানে নামলে কেনো
জ্বর কাশি হয় যেনো
কতদিন যেনো ধরে
ভুকতেছি কাশি জ্বরে

চার ভাই (৯২)
কুমিরেরা চার ভাই
কারো সাথে দেখা নাই
কাটাস টা চড়ে গাছে
কুই সাপ বাঁচে মাছে
টিকটিকি ছোট বলে
একা একা ঘুড়ে চলে
কুমির বড় হলো যে
সুনাম তাই সমাজে

ঝড় (৯৩)
একদিন দুই দিন
তারপর দিন দিন
ঝড়ে আর বায়ু বয়
কালো মেঘে ছেড়ে যায়
সাদা মেঘ কালো হয়
বৃষ্টি ঝড়ে ধেয়ে ধেয়ে
আকাশে সর্বদা ভাসে
আষাঢ় শ্রাবণ মাসে

মহাবীর (৯৪)
এই সেই মহাবীর
জল সমস্ত নদীর
এক নিমিয়েই সেচে
তার পর উঠে নেচে
শুনে এ সকল কথা
ঘুরে যায় মোর মাথা
বুক ফুলে তবু বাল
এইটা মোর মামুলি

বৃষ্টি এলো (৯৫)
বৃষ্টি এলো আয় ভাই
তারাতাড়ি বাড়ি যাই
বই কিন্তু গেলে ভিজে
রাগ কারবে বাবা যে
বৃষ্টি পরিবার আগে
চলে যাই দ্রুত বেগে
বাড়ি গিয়ে তার পরে
ভাত খাব পেট ভরে

হিন্দ ধর্ম (৯৬)
হিন্দু ধর্মের কি মতি
মাটি দিয়ে বানিমূতি
রং ঢং গায়ে ঢেলে
হই চই কোলা হলে
মন্দিরে সাজিয়ে রেখে
তারপর মুখে মুখে
হরে কৃষ্ণ হরে রাম
এ বলে করে প্রনাম

একুশে (৯৭)
একুশের চেতনায়
মন মোর উড়ে যায়
একুশ আসলে পরে
বাংলা ভাষায় তরে
দিয়েছিল যারা প্রমাণ
তাদের করে সম্মান
স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে
নিরবে থাকে দারিয়ে

বসন্ত (৯৮)
বসন্ত যে এলো হায়
ধীরে ধীরে বায়ু বয়
গাছের পাতা বাতাসে
নাচে আর দিব্যি হাসে
কাক ডাকে গাছে গাছে
পেচা ঘোরে তার পাছে
যত সব পাখি পাখি
উড়ে করে ডাকাডাকি

কোকিলের বন্ধু কাক (৯৯)
কোকিলের বন্ধু কাক
সবাই কে করে তাক
কাক তাড়ায় কোকিলে
ডিম টা খেয়েছে বলে
কোকিল ভয়ে কাঁপছে
বলে কথা সব বিছে
কাক ফের ধরে তারে
দুই কান মলে ধরে

নয়া বৌ (১০০)
নদীর ঘাটে নয়াবৌ
সাথে তার নাই কেউ
একাএকা ঘাটে বসে
দেখে মাছ কত ভাসে
ছোট বড় মাছ গুলি
সারি সারি মুখ তুলি
বৌকে সালাম জানায়
তারপর ডুবে যায়

বাড়ির পাছে৷ (১০১)
নয়া বৌ বাড়ির পাছে
দুচোখ আচলে মুছে
হাসিবার চেষ্টা করে
তবুও হাসি না ধরে
শুরু চিন্তা বাপমার
এই কষ্ট চেপে মনে
কাঁদছে বধূ গোপনে

ইয়াকুর (১০২)
এই গ্রামে একজন
বাস করে মহাজন
নাম তার ইয়াকুব
ধর্ম কর্মে বেয়াকুর
টাকা দেয় সুধে ধার
এই তার কারবার
তার কাছে নাকি মান
টাকার নয় সম্মান

এক বুড়ি (১০৩)
আম গাছটির নিচে
এক বুড়ি নিত্যৃ নাচে
চুল তার এলো মেলো
সারা গায়ে মাথা ধুলো
নাচতে নাচতে বুড়ি
হেসে খায় চিঁড়ে মুড়ি
ফের সেই রাগ হলে
চিঁড়ে মুড়ি ছুঁড়ে ফেলে

নেকড়ে (১০৪)
এই বনে বাস করে
হিংস্র এক নেকড়ে
সুস্বাদু খাবার তার
হারনের গোস্ত হার
হরিণ পেলে একটা
কামড়ে ধরে গলাটা
উপর করে ফেলিয়ে
মাংসো খায় ছড়িয়ে

হাদুরাম ভাদুরাম (১০৫)
হাদু রাম ভাদু রাম
এক সাথে করে কাম
সারাদিন ঝড়ে ঘাম
তাদের নেই আরাম
সন্ধা হলে বসে তারা
হাতে নিয়ে একতারা
চিবিয়ে সুপারি পান
সারা রাত করে গান

নীলচান (১০৬)
ঐ গ্রামের নীল চান
রাস্তা দিয়ে হেটে যান
হাত দুখানি নারিয়ে
মাথাটা মস্ত বনাকিয়ে
কোন ও কথা কয় না
কারও কথা শোনেনা
নেই কোনো দৌড় ঝাপ
হেটে চলে চুপচাপ

চিড়ামুড়ি (১০৭)
চিড়া মুড়ি গড় খই
সাথে আছে দুধ দই
আরও মুড়কি ভাজা
খেতে লাগে ভারি মজা
দুধের ক্ষির পায়েস
মিষ্টি লাগে খেতে বেশ
কোরমা আর পোলাও
পেট ভরে তাও খাও

কালবৈশাখীর ঝড় (১০৮)
কালবৈশাখীর ঝড়ে
গাছট গেল উপরে
তার তলে ছিল যত
ছেলেরা খেলায় রত
ওর মধ্য কেহ কেহ
ভূতলে লুকায় দেহ
কেউ ফের ভয় পেয়ে
চলে যায় দৌড় দিয়ে

হিমালয় (১০৯)
টগবগে দেহতার
বঙ্গবন্ধু নাম যার
চশমাটা চোখে দিয়ে
পাইপটা মুখে দিয়ে
এমন ভাবে রাস্তায়
হেলে দুলে চলে যায়
দেখে তারে মনে হয়
আস্ত যেন হিমালয়

নয়া বউ (১১০)
নয়া বউ ভাত খায়
ঘোমটা দিয়ে মাথায়
কেউ ফের ঘরে এলে
সরমে কাশির ছলে
ঘর থেকে চলে যায়
ভাবি সাব দেখে তায়
বউ এর গলা ধরে
মুখ চেপে ঠাট্টা করে

পাকা আম (১১১)
আম বাগানের মধ্যে
পাকা আমের সান্নিধ্যে
দুইজন সাথি জুটি
করলাম ছুটা ছুটি
পায়নি তো পাকা আম
ঝরলো গায়ের ঘাম
তবু আশা ছাড়ি নাই
পাকা আম যদি পাই

পাখনা (১১২)
পাখির মতো পাখনা
থাকতো যদি দুখনা
বাতাসের সাথে মিশে
ঘুর তাম দেশে দেশে
পাহাড় পর্বত যত
দেখতাম ইচ্ছা মতো
দিন শেষে অবশেষে
ঘুমি তাম নিরে এসে

টাকা (১১৩)
জীবনটা হলো মাটি
কি করব টাকা কুটি
টাকার জন্যই আমি
ছেড়ে এই জন্মভূমি
চলে গেলাম বিদেশে
বিশ তর টার আসে
ফিরে এসে দেশে দেখি
নেই কোনো সখা সখি

পণ (১১৪)
জীবনে করেছি যত
দোষ ভ্রতি ক্রমাগত
ঐ সমস্ত ভুল আর
না করে কভু আবার
মনে মনে এই পণ
করি আমি আজীবন
সত তার নিসতায়
চলি যেন সর্বদায়

সূর্য (১১৫)
সূর্য বাবু ডুবু ডুবু
আলো তাই হলো কাবু
আষাঢ় আসিয়া বলে
সূর্য নাকি তীব্র জ্বলে
কোথায় সেই সূর্যটা
মটকে ওর মুন্ডুটা
খেয়ে ফেলব এবার
রাত্রে আসিলে আবার

দেশেরযা দরকার (১১৬)
দেশের যা দরকার
একাই কি সরকার
বহন করিবে সব
আসুন আজ সবাই
সেটা কিন্তু অসম্ভব
দেশের গাই সাফাই
মন খুলে পণ করি
মিলেমিশে দেশ গড়ি

পোড়ামুখি (১১৭)
জল্পনা কল্পনা শেষে
দেখলাম বাড়ি এসে
ভাই বোন কেউ নাই
ছেলে মেয়ে স্ত্রীও তাই
খোঁজ করে পড়ে দেখি
আমি নাকি পোড়া মুখি
এই ভাবনা ভাবিয়ে
সবাই গেছে পালিয়ে

দুর্নিতি (১১৮)
দেশের সব দুর্নিতি
রৌদ করিলে উন্নতি
হবেই হবে নিশ্চয়
এ কথা সকলে কয়
আসুন তাই বাঙালি
পণ করি সব মিলে
মন থেকে ছুড়ি আড়ি
দুর্নিতি ভাওতা বাজি

মাটির পুতুল (১১৯)
মাটির পুতুল আজ
পড়েছে রঙিন সাজ
কেউ বর কেউ কনে
সত ধন্য রূপে গুনে
বিয়ের আসরে বসে
চোখ বুঝে সুরু হাসে
মনে মনে ভাবে আর
এই বুঝি সংসার

মশা (১২০)
মশা বলে কার বেশি
মোর চেয়ে শক্ত পেশি
যদি থেকো কেহ রাজি
শর্ত করে ধরো বাজি
সেথা ছিল এক হাতি
সাথে তার নিত্য ভিতি
এই শুনে অতি কায়
ভয় পেয়ে সরে যায়

রাজা (১২১)
রাজার যে হইছেকি
মসনদ দিয়ে ফাকি
চুপ চাপ শুয়ে আছি
নেই কেহ তার কাছে
পাএ নিএ সভা সদে
চিন্তা রত পরিষদ
দাওয়ায় বসে রানি
মোছে সে চোখের পানি

ঈদের দিন (১২২)
ঈদের দিনে বেশতো
খুশিতে ওরা নাচতো
ছেলে মেয়ে বাড়ি বাড়ি
দল বেধে সাডি সাড়ি
নতুন পোশাক পড়ি
নাস্তা পানি পেটে পুড়ি
আলস্য করি হারাম
বেড়াইতো সাড়াগ্রাম

ঈদের দিন সকালে (১২৩)
ঈদের দিনে সকালে
দাদি এসে মথা বুলে
আস্তে আস্তে ডেকে কয়
বিছানায় আর নয়
তারাতারি যাও উঠে
নামাজ পরিতে মাঠে
দাদির কথায় আমি
ছারি লাম আলসেমি

রাজা-রানি (১২৪)
রাজা রানি পাশাপাশি
খুশি মনে আছে বসি
মুখ তাদের একটা
চলছে ভালো রাজ্যটা
এই ভেবে রাজা রানি
মুছে ফেলে কষ্ট গ্রানি
প্রজার সুখের তরে
দুজনে প্রার্থনা করে

রাজার অসুখ (১২৫)
রাজার আজ অসুখ
তার মনে নাই সুখ
পাশে বসে রানি শুরু
খাওয়ায় তারে মধু
পাত্র মিত্র দাস দাসি
পাশাপাশি ঘেলা ঘেসি
বাইরে প্রজা সমস্ত
কান্নায় বেধুম মস্ত

গোপাল ভাঁড় (১২৬)
গোপাল ভাঁড়ের আজ
কপাল পরেছে ভাজ
মুখে তার কথা নেই
সভা কক্ষে আসতেই
উপস্থিত সভা সদ
করে তার তোষামোদ
তবুও গোপল ভাঁড
চুপসে যেন অসাড়

লালু নুলু দুই ভাই (১২৭)
লালু নুলু দুই ভাই
পিতা মাতা কেহ নাই
সহায় সম্পদ চুষি
নিয়েছে সব পড়সি
এই দুঃখে দুজন
করেনি আর ভোজন
পরে তারা গলা ধরে
রাস্তায় বেরিয়ে পরে

কাঁপড় কাচা (১২৮)
পুকুর পাড়ে বউটা
শক্ত করে কোমড়টা
কাঁপড় কাচে দুহাতে
হাপাইতে হাপাইতে
তবুও স্বামীর তরে
মনটা কেমন করে
কখন যে স্বামী এসে
ডাকিবে মুচকি হেসে

আয় আয় দিদি মনি (১২৯)
আয় আয় দিদি মনি
খেয়ে যাও নাস্তা পানি
আম দুধ কলা আর
গুড় চিনি সাথে তার
পোলাও বাদাম পেস্তা
পেট ভরে খেয়ে নাস্তা
তার পর বাড়ি যাও
বিছানায় গা জরাও

Leave A Comment